রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি থানায় করা চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার মডেল মেঘনা আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সানাউল্লাহ এ আদেশ দেন।
মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে স্মারকলিপি দিয়েছেন আইনজীবী, অধিকারকর্মী, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার ২৭ জন বিশিষ্ট নারী। রোববার (২০ এপ্রিল) স্মারকলিপিটি প্রধান উপদেষ্টাকে ই-মেইলে পাঠানো হয়।
‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ ও মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে যে প্রক্রিয়ায় আটক করা হয়েছে, সেটা সঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
বিশেষ ক্ষমতা আইনে ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ ও মডেল মেঘনা আলমের আটকাদেশকে ফ্যাসিবাদী তৎপরতা ও স্বৈরাচারী আচরণের প্রকাশ বলে মনে করে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি।
বিশেষ ক্ষমতা আইনে ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ ও মডেল মেঘনা আলমকে আটকের পর কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। শুক্রবার ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে সংগঠনটি।
বিশেষ ক্ষমতা আইনে সাবেক ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ মেঘনা আলমকে আটক ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রচিন্তা। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে রাষ্ট্রনৈতিক সংগঠনটি এই উদ্বেগ জানায়।
সাবেক মিস আর্থ বাংলাদেশ ও মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকাদেশ দিয়ে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ডিবি পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ এ আদেশ দেন।
বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় ১১ বছর পর খালাস পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও সহযোগী সংগঠনের সিলেট ও বিয়ানীবাজার শাখার ৬১ জন নেতা–কর্মী।